Tuesday, February 22, 2011

ফেসবুকের সব তথ্য সেভ করুন হার্ডডিস্কে

ফেসবুকের সব তথ্য সেভ করুন হার্ডডিস্কে

আহসান হাবিব
ব্যবহারকারীরা যাতে আরও নিরাপদে তথ্য শেয়ার করতে পারেন সে জন্য সম্প্রতি ফেসবুকে ‘গ্রুপস’ নামক একটি ফিচার চালু করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফিচারটি চালু করেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ। যদিও বাংলাদেশে এখনও এটি চালু হয়নি। তবে ‘গ্রুপস’ ফিচার যেদিন চালু করা হলো ঠিক একই দিন ‘ডাউনলোড টুলস’ নামে আরেকটি টুলসেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন জুকারবাগ।
ফেসবুক ডাউনলোড টুলস
ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা ইদানীং নানা কারণেই অ্যাকাউন্ট বাতিলের স্বীকার হচ্ছেন। অ্যাকাউন্ট অপব্যবহারের কারণেও অনেকে সাধ্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হারাচ্ছেন। এতে হয়ত সহজেই আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়া যাবে, তবে আগের অ্যাকাউন্টের কনটেম্লটগুলো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেসবুকে জমা হওয়া সব কনটেম্লট এবং তথ্য হারিয়ে যাবে চিরতরে! তবে চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার আগে তথ্যগুলো যাতে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, সে বন্দোবস্ত করে দিলেন স্বয়ং জুকারবার্গ। ডাউনলোড টুলসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা হার্ডড্রাইভে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সব তথ্য ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
কীভাবে করবেন এ প্রক্রিয়া?
প্রথমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন। এবার হোমপেজের উপরে ডানপাশে Accounts এ ক্লিক করুন। এখান থেকে ক্লিক করুন Account Settings-এ।
নতুন যে পেজটি খুলবে এবার একেবারে তার নিচে Download your information নামে একটা ট্যাব পাবেন। সেখানকার Learn More লেখা লিংকে ক্লিক করুন।
এরপর Download বাটনে সরাসরি একটি ক্লিক করুন। এবার আপনার ফেসবুক মেইল অ্যাকাউন্টে একটি মেইল পাবেন (মেইল পেতে কয়েক ঘণ্টা দেরি হতে পারে)। মেইলে একটা লিংক পাবেন। লিংকটিতে ক্লিক করুন। নতুন যে পেজটি খুলবে সেখানে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ডটি লিখুন। এবার ডাউনলোডে ক্লিক করলে আপনার ফেসবুকের তথ্যগুলো ডাউনলোড হওয়া শুরু করবে।

তথ্যগুলো যেভাবে দেখবেন

ডাউনলোড হওয়া তথ্যের ফাইলটি জিপ ফাইল হিসেবে থাকবে। প্রথমে সেটি আনজিপ করুন। এবার যে ফাইলটি ইনডেক্স নামে পাবেন সেটি কোনো ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে খুলুন (ওপেন উইথ থেকে ব্রাউজার নির্বাচন করতে হবে)। এবার ফাইলটি অফলাইনে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এবং তথ্যাবলী সব দেখতে পারবেন। ছবিগুলো পাবেন অ্যালবাম নামক একটি ফোল্ডারে।

Tuesday, February 8, 2011

ফেসবুক হ্যাকিং প্রতিরোধে ব্যবস্থা

ফেসবুক হ্যাকিং প্রতিরোধে ব্যবস্থা

- খন্দকার মারছুছ
ফেসবুক ডেভেলপার
ইমেইল : kmarsus@gmail.com


বর্তমান সময়ের একটি আলোচিত বিষয় ফেসবুক হ্যাকিং। তিল তিল করে গড়ে ওঠা ফেসবুক পরিবার নিমিষেই ভেঙে যাচ্ছে হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ে। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই, সামান্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই এসব হ্যাকিং থামানো সম্ভব।
—ফেসবুক হ্যাকিং থেকে বাঁচার প্রথম উপায় হলো ফেসবুক সংশ্লিষ্ট মেইল এবং মূল ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভিন্ন রাখা। হ্যাকাররা হ্যাকের পরই প্রথম লক্ষ থাকে ই-মেইল এড্রেসটা বদলে ফেলা। আর কোনোক্রমে ই-মেইল এড্রেসটি বদলে ফেলতে পারলে আর হ্যাকিং হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। কারণ হ্যাকিং হওয়ার পর অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করার একমাত্র উপায় হলো ই-মেইল এড্রেস।
—ফেসবুকের কোথাও পাসওয়ার্ড দেয়ার প্রয়োজন হলে প্রথমেই দেখে নিতে হবে ওয়েব এড্রেসটি মূল ফেসবুকের এড্রেস কিনা। অনেক সময় কাছাকছি এড্রেসের এবং দেখতে সম্পূর্ণ ফেসবুকের ওয়েবসাইটের মতো সাইটগুলোতে পাসওয়ার্ড দিলেই সাইটটি হ্যাক হয়ে যায়। facebook.com-এর পরিবর্তে যদি facebookie.com, facabook.com ইত্যাদি রকম দেখা যায় তবে কখনোই ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দেয়া যাবে না।
—পাবলিক কম্পিউটারে বসলে কাজের শেষে অবশ্যই লগআউট করতে হবে। এবং পাবলিক কম্পিউটারে কখনোই পাসওয়ার্ড রিমেম্বার দেয়া যাবে না।
—যে কোনো ই-মেইল পাসওয়ার্ড দেয়ার আগে দেখে নিতে হবে ওয়েব এড্রেসটি মূল ফেসবুকের কিনা।
—কম্পিউটারকে সব সময় ম্যালওয়ার ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এগুলো অনেক সময় পাসওয়ার্ড চুরি করে নিয়ে যায়।
—কখনও কোথাও থেকে আসা Facebook Password Reset Confirmation এরকম মেইলে পাসওয়ার্ড রিসেটে ক্লিক করা যাবে না।
—পাবলিক কম্পিউটারে বসলে কাজ শেষে অবশ্যই cache এবং cookies ডিলেট করতে হবে।
—ফেসবুক প্রোফাইলে কোনোরকম অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলতে হবে।
—মেইলে আসা সফটওয়্যার না বুঝে সেটআপ দেয়া যাবে না। অনেক সময় দেখা যায়, ফাইলটি দেখতে ভিডিও বা অডিও ফাইল মনে হচ্ছে কিন্তু আসলে এটি একটি সেটআপ ফাইল, যেটি সেটআপ দিলেই কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড চলে যাবে দুর্বৃত্তদের কাছে।
—এছাড়া মাঝে মাঝেই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত।
—হ্যাক হওয়ার পরও একাউন্টটি ডিলেট করা যাবে না। কারণ হ্যাকিং হওয়ার পরও অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করার কোনো না কোনো উপায় থাকে।
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার পর এটি পুনরুদ্ধার করতে যা যা করণীয় তা হলো—
—যদি ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড হ্যাক হয় এবং মেইল একাউন্টটি ঠিক থাকে তবে এই লিঙ্ক থেকে রিকয়েস্ট পাঠালে পাসওয়ার্ড সমাধান পাওয়া যাবে।
https://ssl.facebook.com/reset.php
—যদি ওপরের লিঙ্কে কাজ না হয় তবে পাসওয়ার্ডটি পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
http://www.facebook.com/help/identify.php?show_form=hack_login_changed
—যদি ই-মেইল এড্রেসটি পরিবর্তন হয়ে যায় তবে নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। ফর্মটি পূরণ করে পাঠালে ফেসবুকের কর্মকর্তারা যোগাযোগ করবে।
https://ssl.facebook.com/help/contact.php?show_form=hacked_self_recovery

Source: Daily Amardesh

Saturday, February 5, 2011

ফেইসবুকের ৫ মুশকিল আসান

ফেইসবুকের ৫ মুশকিল আসান
ফেইসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকে না বুঝেই অজানা বিপদের মুখোমুখি হন। অনেক সময় চুরি হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। এমন পাঁচ বিপদ এবং সেসবের সমাধান নিয়ে লিখেছেন ফারহাত আহমেদ তৃতীয়-পক্ষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার
গেইম খেলা এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে অনুমোদন দিতে হয়। ফেইসবুকের হালনাগাদকৃত পলিসি অনুযায়ী ব্যবহারকারী যদি তার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কোনো তৃতীয়-পক্ষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে বা অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে নিজের প্রোফাইল শেয়ার করে তবে সেই তৃতীয়-পক্ষ অ্যাপ্লিকেশন শুধু ওই ব্যবহারকারীর নাম, প্রোফাইল ছবি, লিঙ্গ, ইউজার আইডি জানতে পারে। এসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। এর থেকে সমাধান পেতে এসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।

ডিফল্ট প্রাইভেসি সেটিংস
ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার স্বার্থেই ফেইসবুক মাঝেমধ্যে তাদের সেটিংস পাল্টায়। এ সময় বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি সেটিংস 'ডিফল্ট' হয়ে যায়। এ সুযোগে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে ফেইসবুক সেটিংস পরিবর্তন করলে অ্যাকাউন্ট চেক করে নিজের মতো করে 'সেটিংস' করে নিতে হবে।

বিজ্ঞাপনে ম্যালওয়্যার
ফেইসবুকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। তবে কিছু বিজ্ঞাপনে ম্যালওয়্যার ভাইরাস থাকে। এগুলো ক্লিক করলেই কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মন ভোলানো কথা, লেখা বা রঙিন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ানো হয়। এ বিপদ এড়াতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করাই ভালো।

বন্ধুর মাধ্যমে ক্ষতি
সম্প্র্রতি ফেইসবুকে একটি বাগ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর অজান্তে তার কোনো ফেইসবুক বন্ধু ওই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত রিকোয়েস্টগুলো দেখতে পারে। এতে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো অন্য কারো কাছে পাচার করে দিতে পারে। এ জন্য ফেইসবুকে বন্ধু নির্বাচনে একটু সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

ভুয়া ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট
স্ক্যামাররা ভুয়া ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহারকারীদের নানাভাবে প্রতারণা করছে। তাই নিজের তথ্য সুরক্ষায় ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার সময় ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত তিনি আপনার পরিচিত কি না। সন্দেহ হলে অ্যাকসেপ্ট না করাই শ্রেয়।
Source: Daily Kalerkantho

Friday, February 4, 2011

এলো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ব্রাউজার ‘রকমেল্ট’

এলো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ব্রাউজার ‘রকমেল্ট’

বর্তমানে চলতি ব্রাউজারগুলো ওয়েববান্ধব তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বান্ধব নয়। আর এ অসুবিধা দূর করতে ওয়েব ব্রাউজারের ভুবনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সহায়ক ব্রাউজার হিসেবে নতুন এক ব্রাউজার রকমেল্টের বেটা ভার্সন ছাড়া হয়েছে। ক্লাউডনির্ভর এই ব্রাউজারে রয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংবান্ধব ফিচার। মূলত সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোকে আর সাবলীলভাবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্য এ ব্রাউজারের আর্বিভাব বলে জানা গেছে। নতুন এই ব্রাউজারটি তৈরি করেছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম অ্যান্ড্রিসেন হরোউইজ। রকমেল্ট ব্রাউজার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা হবে ঠিক ফেসবুক ব্যবহারের মতোই। অন্য সব ওয়েব ব্রাউজারের তুলনায় এর মূল্য পার্থক্য হচ্ছে এটি ব্যবহারে ব্যবহারকারীর অবশ্যই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অর্থাত্ এ ব্রাউজারে প্রবেশ করতে অবশ্যই ফেসবুকের লগইন তথ্যের প্রয়োজন হবে। টুইটার এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধুদের এ ব্রাউজারে যুক্ত করতে পারবেন। রকমেল্ট ব্রাউজারে সেটিংস, বুকমার্কসগুলো অনলাইনে ব্যাকআপ থাকে। ফেসবুক যদি অথেনটিকেশনের জন্য ব্যবহার করা হয় তবে সবখানেই ফেসবুকের রেপ্লিকা ব্রাউজার আকারে তৈরি হবে। জানা গেছে, রকমেল্ট তৈরি করা হয়েছে গুগল ব্রাউজারের ওপেনসোর্স প্রকল্পের ক্রোমিয়াম ব্যবহার করে। গুগল ক্রোমের চেয়ে রকমেল্টে ব্রাউজারের মুল পার্থক্য হলো কলামগুলো ব্রাউজারের দুই দিকেই দেখা যাবে। এ মুহূর্তে ব্যবহারকারীরা www.rockmelt.com ওয়েবসাইট থেকে ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে উপভোগ করতে পারবেন।
ইন্টারনেট অবলম্বনে মনিরুল হক ফিরোজ

Monday, January 31, 2011

ফেসবুক মানুষকে আরও সামাজিক করে তুলছে

ফেসবুক মানুষকে আরও সামাজিক করে তুলছে

সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুক৷ মানুষকে সমাজের সঙ্গে আসলেই কতটুকু সম্পৃক্ত করছে তা নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ৷ তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় কিন্তু এই তথ্যই বেরিয়ে এসেছে যে, ফেসবুক মানুষকে সত্যিকার অর্থে আরও সামাজিক করে তুলছে৷

মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে হঠাৎ করেই অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসবুক৷ বর্তমানে সারা বিশ্বের পঞ্চাশ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে সামাজিক এই নেটওয়ার্ক৷ তবে তার পাশাপাশি বলা হচ্ছে এর নেতিবাচক প্রভাবের কথাও৷ অবশ্য টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা৷ গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিও, টিভি এবং ফিল্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস. ক্রেইগ ওয়াটকিনস৷ তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের গবেষণা বলছে, বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং সহকর্মীদের মধ্যে মুখোমুখি যে তথ্যবিনিময় হয়, ফেসবুক সেই স্থান দখল করতে পারেনা৷ তবে সামাজিক মাধ্যম হিসেবে নতুন উপায়ে ফেসবুক বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছে এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে৷''ফেসবুক বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছে

গবেষণার জন্য বেছে নেয়া হয় নয়শ' কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং সদ্য পাশ করা স্নাতকদের৷ তাদের প্রশ্ন করা হয়, তারা কেমনভাবে এবং কাদের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করেন৷ ষাট শতাংশের বেশি উত্তরদাতা বলেছেন, স্ট্যাটাস আপডেট করতেই তাঁরা বেশি পছন্দ করেন৷ তারপর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পছন্দের কাজ হচ্ছে প্রোফাইলে কমেন্ট লেখা৷ তাঁদের ঊনপঞ্চাশ শতাংশ পছন্দ করেন বন্ধুদের মেসেজ পাঠাতে এবং কমেন্ট লিখতে৷ আরেকটি বিষয় গবেষকদের নজর কাড়ে৷ সেটি হচ্ছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নারী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান হলেও তাঁরা কিন্তু তা ব্যবহার করছে ভিন্নভাবে৷

ওয়াটকিনস বলছেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যোগাযোগ রক্ষার বিষয়টিকেই তাঁরা বেশি আগ্রহী৷ আর পুরুষরা তাঁদের কাজের স্বার্থেই বেশি ব্যবহার করছে ফেসবুক৷ উদাহরণ হিসেবে ওয়াটকিনস বলছেন, মেয়েরা সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বন্ধুদের সঙ্গে তোলা ছবিগুলো পোস্ট করতে বেশি পছন্দ করেন৷ অন্যদিকে পুরুষরা পছন্দ করছেন রাজনীতি বা পপ কালচার সংশ্লিষ্ট কোনো লিংক দিতে৷ ওয়াটকিনস বলেন, ফেসবুক বিভিন্ন ধরণের মানুষকে এবং তাঁদের ধ্যান-ধারণাকে এক কাতারে নিয়ে আসে৷ আর আমরা এর মাধ্যমে বন্ধু, সহকর্মী বা পরিবারের কাছে নিজেদেরকে উপস্থাপন করি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

Source: www.dw-world.de

ফেসবুক : নতুন সেটিংসের পয়লা পাঁচ

ফেসবুক : নতুন সেটিংসের পয়লা পাঁচ

সম্প্রতি ফেসবুকের সকল প্রাইভেসি সেটিংস আবারো আপডেট করা হয়েছে। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের আপডেটেড প্রাইভেসিতে যোগ করা হয়েছে বেশকিছু নতুন অপশন। ফেসবুক জানিয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্যাদির উপর ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেই মূলত নতুন অপশনগুলো যোগ করা হয়। তবে প্রাইভেসি সেটিংস আপগ্রেড করার পর থেকেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। খবর অনলাইন সংবাদ সংস্থা এমএসএনবিসি’র।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের ভালো-খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। তারা জানিয়েছেন- অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত তথ্য এবং পোস্ট সবার সামনে উন্মুক্ত রাখার জন্য ফেসবুক পরোক্ষভাবে ব্যবহারকারীদের উদ্বুদ্ধই করছে।

আসুন, নতুন পরিস্থিতিতে ফেসবুকের নতুন নিরাপত্তা পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দিক জেনে নেয়া যাক।

সার্চ সেটিংস

নতুন সেটিংসে আপনার প্রোফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ও পাবলিক লিস্টিংয়ের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেতে পারে। অনেকেই বলছেন, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ও পাবলিক লিস্টিংয়ে অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার অপশন চালু রাখার পরও নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রোফাইলও জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে; যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি বিরুদ্ধ।

তবে আপনি চাইলে সার্চ সেটিংস এর পরিবর্তন করতে পারেন। প্রাইভেসি সেটিংস অপশন থেকে ‘অ্যালাউ ইনডেক্সিং’ চেকবক্স থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিলেই আপনার প্রোফাইল বাইরের কেউ খুঁজে পাবে না।

প্রাইভেসি সেটিংসে পাসওয়ার্ড বলয়

ফেসবুক জানিয়েছে, নতুন প্রাইভেসি সেটিংসের আওতায় আপনি প্রাইভেসি সংক্রান্ত যে কোনো কিছু আপডেট করার সময় প্রথমে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। অর্থাৎ, আপনি লগইন থাকাকালীন অন্য কেউ যাতে আপনার প্রাইভেসি সেটিংস বদলে দিতে না পারেন, সে জন্যই নিরাপত্তার এই বাড়তি স্তর। এতে করে পুনরায় পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে প্রাইভেসি সেটিংসে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।

তবে অনলাইন সংবাদ সংস্থা এমএসএনবিসি’র প্রতিবেদক জানিয়েছেন, তিনি বারবার পাসওয়ার্ড দেয়া ছাড়াই প্রাইভেসি সেটিংসে পরিবর্তন করতে পেরেছেন। তিনি আরো জানান, প্রাইভেসি সেটিংসে বিভিন্ন বিষয় কোনোরকম নিরাপত্তা বলয় ছাড়াই তিনি পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। অর্থাৎ, তার বেলায় এভাবে বারবার পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়নি।

পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন যে, প্রাইভেসি আপডেটের প্রায় আধা ঘণ্টা পর পাসওয়ার্ডের এই বাড়তি বলয়টি কার্যকরী হয়। আগে ঘোষণা দিয়ে পরে সুবিধা সক্রিয় করার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল ইনফরমেশন

ফেসবুকের পরিবর্তিত প্রাইভেসি সেটিংসে রয়েছে পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল ইনফরমেশন, সংক্ষেপে পিএআই। এর অধীনে আপনার প্রোফাইলের ছবি, আপনি যেসব পেজের ফ্যান সেসব পেজের তালিকা, জেন্ডার, ধর্ম, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি তথ্যাদি সবার প্রতি উন্মুক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, চাইলেই যে কেউ আপনার সম্পর্কে এসব তথ্য সার্চ ফলাফল পাতা থেকে জানতে পারবেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সার্চ পাতায় নিজের প্রোফাইল উন্মুক্ত রাখছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, এইসব তথ্য মুছে ফেলার কোনো উপায় নেই বললেই চলে। সার্চ পাতায় নিজেকে দৃশ্যমান রাখতে হলে উপরোক্ত তথ্যগুলোও প্রকাশ করতে হবে; যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রশ্নে খানিকটা অস্বস্তিকরই বটে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি এমন কোনো সামাজিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজের ফ্যান হয়ে থাকেন যার সম্পর্কে আপনার ফেসবুক বন্ধু বা অন্য কাউকে জানাতে চান না, তাহলে নতুন এই পদ্ধতির আওতায় তা সম্ভব নয়। কেননা, সার্চ ফলাফলে আপনি নিজেকে দৃশ্যমান রাখতে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এসব তথ্য সবার সামনে চলে আসবে, যা ফেসবুকের নতুন এই প্রাইভেসি আপডেট সমালোচিত হওয়ার অন্যতম মূল কারণ।

বিশেষ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা

পিএআই ফেসবুক প্রাইভেসির একটি বিতর্কিত দিক হলেও ফেসবুকে আপনার অন্যান্য কর্মকান্ডের উপর আপনি পাচ্ছেন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। এমনকি আপনি যখন প্রতিবার স্ট্যাটাস আপডেট করেন, তখনই ঠিক করে দিতে পারবেন কে কে এই পোস্ট বা স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন এবং কে কে এই পোস্ট দেখতে পারবেন না। একইভাবে আপলোড করা ছবির বেলাতেও আপনি প্রাইভেসি লেভেল নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।

ফেসবুকের নতুন এই প্রাইভেসি সেটিংস একইসঙ্গে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুইই কুড়াচ্ছে। কিছু কিছু আপডেট সত্যিকার অর্থেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় কার্যকর। অন্যদিকে কিছু ব্যাপার আবার মোটেই সন্তোষজনক নয়।

ফেসবুক প্রাইভেসি আপডেটে ব্যবহারকারীদের তথ্য সবার প্রতি উন্মুক্ত করে দিতে পরোক্ষভাবে আহ্বান করা হয় বলে দাবি করেছেন একাধিক প্রযুক্তিবিদ। তাদের মতে, গুগলের রিয়েল-টাইম সার্চ রেজাল্টের মাধ্যমে বাড়তি হিট পাওয়ার আশায়ই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি আপডেট করতে বলছে, যদিও সোজা-সাপ্টা ভাষায় ফেসবুক তেমন কিছু বলেনি। অন্যদিকে অনেক প্রযুক্তিবিদদের ধারণা, ফেসবুক নকল করতে চাচ্ছে টুইটারের আইডিয়া, যা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন তারা।

Source:

মজার ও দরকারি ১১টি ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন

মজার ও দরকারি ১১টি ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন

বর্তমান প্রজন্মের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক যেন এক অপরিহার্য অংশ। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং জীবনের প্রতি মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ফেসবুক এখন সর্বাধিক জনপ্রিয়। একইভাবে মার্কেটিং ও প্রোমোশনের কাজেও ফেসবুকের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এর বিশাল অ্যাপ্লিকেশন ভাণ্ডার। তৃতীয়পক্ষের ডেভেলপারদের তৈরি অ্যাপ্লিকেশনে ভরপুর ফেসবুক দুনিয়া, যা ব্যবহার করে অনেকেই অবসর সময় কাটিয়ে থাকেন।

নিচে ১১টি প্রয়োজনীয় এবং মজার ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারে আলোচনা করা হলো যেগুলো আপনার কাজে লাগতে পারে।

পিকনিক
পিকনিক হচ্ছে ব্রাউজার-বেজড ছবি সম্পাদনার অ্যাপ্লিকেশন। বলা বাহুল্য, এর আলাদা ওয়েবসাইটই রয়েছে। তবে ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যালবামের ছবিগুলো সহজেই সম্পাদনা করতে পারবেন।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

সুপার পোক
ফেসবুকে পোক নামে একটি অপশন রয়েছে, যার মূল কাজ কোনো বন্ধুকে স্মরণ করা। সুপারপোক হচ্ছে সেই বিল্ট-ইন ফিচারেরই উন্নত রূপ। এর মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুর ওয়ালেও প্রকাশ করতে পারবেন যে আপনি তাকে মিস করছেন বা তার কথা মনে পড়ছে।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যাপিয়ার অফলাইন
যারা ফেসবুকে চ্যাট করে অভ্যস্ত, তাদের জন্য অসাধারণ একটি অ্যাপ্লিকেশন এটি। এর মাধ্যমে আপনি আপনার স্ট্যাটাস অফলাইনে রেখে দেখতে পারবেন আপনার বন্ধুদের মধ্যে কে কে অনলাইনে আছে। এছাড়াও আপনি অফলাইন মোডে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটও করতে পারবেন। অধিক সংখ্যক বন্ধু থাকায় যারা ফেসবুক চ্যাটে লগইন করেন না, তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত অ্যাপ্লিকেশন। উল্লেখ্য, ফেসবুক চ্যাটে ইনভিজিবল কোনো মোড নেই। আর তাই অফলাইন থেকেও বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করার একমাত্র উপায় অ্যাপিয়ার অফলাইন অ্যাপ্লিকেশন।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

লাস্ট ডট এফএম
মিউজিক ভালোবাসেন, ইন্টারনেটেও যাতায়াত আছে, অথচ লাস্ট ডট এফএম এর নাম শোনেননি এমন মানুষ হয়তো কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। বলা হয়, লাস্ট ডট এফএম সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিখ্যাত মিউজিক্যাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। লাস্ট ডট এফএম-এ যদি আপনি গান শুনে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনি লাস্ট ডট এফএম-এ আপনার কর্মকাণ্ড ও প্লে-লিস্ট বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লিক্সটার মুভিজ
লাস্ট ডট এফএম-এর মতোই, তবে এটি মিউজিক নয়, বরং মুভিভিত্তিক। মুভিপ্রেমীরা এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে ফেভারিট মুভির তালিকা শেয়ার করতে পারবেন এবং কার কোন ধরনের মুভি পছন্দ এসব তুলনা করতে পারবেন।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রু এজ টেস্ট
ট্রু এজ টেস্ট এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যা আপনার অভ্যাস এবং লাইফস্টাইলের উপর ভিত্তি করে আপনার শরীরের আসল বয়স বলে দিতে পারে। উল্লেখ্য, এগুলো সবই মজা করার জন্য বা ফান অ্যাপ্লিকেশন।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

সুপার ওয়াল
সুপার পোকের মতোই সুপার ওয়াল ফেসবুকের বিল্ট-ইন ওয়ালের উন্নততর রূপ। এর মাধ্যমে আপনি বাড়তি কিছু সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

পিং ডট এফএম
বর্তমান যুগে অধিকাংশ মানুষেরই একাধিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একাউন্ট থেকে থাকে। আর তাই যেকোনো স্ট্যাটাস মেসেজ আপডেট করতে একাধিক সাইটে লগইন করার ঝামেলা পোহাতে হয়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতেই পিং ডট এফএম-এর উদ্ভব। এই সাইটটি ব্যবহার করে আপনি ফেসবুক, টুইটারসহ বেশকিছু সাইটে একযোগে স্ট্যাটাস আপডেট করতে পারবেন। আর পিং ডট এফএম-এর ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করলে আপনাকে পিং ডট এফএম-এর সাইটেও যেতে হবে না, ফেসবুকে বসেই আপনি আপনার সবগুলো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে স্ট্যাটাস আপডেট করতে পারবেন। এতে করে আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন যে, আপনার যেসব বন্ধুরা ফেসবুকে নেই, তারাও আপনার স্ট্যাটাস দেখতে পাচ্ছেন অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বসেই।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

টপ ফ্রেন্ডস
ফ্রেন্ড লিস্ট বা বন্ধু তালিকার সবার সঙ্গে নিশ্চয়ই আপনার একইরকম সম্পর্ক নেই। আবার একইভাবে কিছু কিছু বন্ধু নিশ্চয়ই আপনার কাছে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি স্পেশাল। আপনার প্রোফাইলে তাদেরকে আলাদা করে তালিকাভুক্ত করতেই টপ ফ্রেন্ডস অ্যাপ্লিকেশন। এতে করে আপনি আপনার প্রোফাইলে টপ ফ্রেন্ডস নামে একটি উইজেট পাবেন যেখানে বিশেষ সেসব বন্ধুদের তালিকা ও ছবি প্রদর্শিত হবে।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

এক্স মি
এক্স মি এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যা আপনার বন্ধুদের ভিজুয়াল অ্যাকশনের সুযোগ করে দেবে। অর্থাৎ, আপনার প্রোফাইলে এসে তারা আপনাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন, পিঠ চাপড়ে দিতে পারেন, চাই কি কষে চড়-থাপ্পড়ও লাগাতে পারেন। অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করলে আপনার প্রোফাইলে এ সব অ্যাকশনগুলো যোগ হয়ে যাবে।
এ্যাপ্লিকেশনটা ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন

এছাড়াও আরো নানাবিধ অ্যাপ্লিকেশনে ভরপুর ফেসবুক যা আপনি সার্চ করলেই খুঁজে পাবেন। তবে, সতর্ক থাকুন। না জেনেশুনে কোনো অ্যাপ্লিকেশনকে অ্যাক্সেস না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ, কেননা, কিছু কিছু অ্যাপ্লিকেশন ক্ষতিকারকও হয়ে থাকে।
Source:
জবরুল আলম সুমন
www.somewhereinblog.net

ফেসবুক আসক্তদের জন্য ৫ চাকরি

ফেসবুক আসক্তদের জন্য ৫ চাকরি

রবিবার সকাল৷ ফেসবুকে লগ ইন করে প্রথমেই বদলালেন ভাবনার ঘর, এরপর বন্ধুদের খবর নিতে বৃত্তান্তে ঢু মারা৷ হঠাৎই নজরে পড়লো আপনার বন্ধু নয় এমন কারো বৃত্তান্তের ছবিসম্ভারে চিহ্নিত হয়ে আছে আপনার বান্ধবী!

যেইভাবা সেই কাজ৷ নজর বোলানো অচেনা ব্যক্তির বৃত্তান্তে আর খুঁজে বের করা কিভাবে সে চেনে আপনার বান্ধবীকে কিংবা আপনি এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে কোনো পারস্পরিক বন্ধু আছে কিনা৷

... এভাবে সকালের বেশ খানিকটা সময় আপনার চলে যাচ্ছে ফেসবুকেই৷ আজকাল অবশ্য অনেক প্রতিষ্ঠানই চাকরি দেবার আগে পরখ করে নেয় ফেসবুক, টুইটার বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে প্রার্থীর জ্ঞানের মাত্রা৷ আবার অনেকে চাকরি দেবার পর অনুরোধ করে ফেসবুক, টুইটারে সময় একটু কম ব্যয় করতে৷ এই দোটানার মধ্যেও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো কিন্তু ব্যস্ত সামাজিক নেটওয়ার্কিংকে জনপ্রিয় করতে৷

সে যাই হোক, বলছিলাম ফেসবুক আসক্তদের চাকরির কথা৷ সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে প্রসাধনী বিক্রি- প্রায় সব ধরণের প্রতিষ্ঠানই এখন চায় ইন্টারনেটে তাদের পণ্যের প্রসার বাড়াতে৷ আর বর্তমানে বিনা খরচায় মার্কেটিং এর জন্য সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো হয়ে উঠেছে হটকেক৷

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সবার মস্তিষ্কে আবার সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর সহজ সমীকরণ ঢুকতে চায় না৷ আর তাই, ডাক পড়ে ফেসবুক, টুইটার আসক্তদের!

আচ্ছা বলুনতো বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত? গুগলে সার্চ করুন৷ বিশাল সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারীর অনেকেই কিন্তু চাকরি খুঁজছে৷ অঞ্চলভেদে সেসব চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে৷ আজকাল সময় বাঁচাতে বা সেসব চাকরি প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য খুঁজতে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু বেছে নেয় ফেসবুক প্রোফাইল৷ আর চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানটির এই কাজ সহজ করে দিতে পারে কোন এক ফেসবুক আসক্ত!

বর্তমানে সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ৷ ফেসবুক, টুইটার, অর্কুটসহ অনেক ওয়েবসাইট৷ (চাকরি দেবার আগে পরখ করে নেয় ফেসবুক, টুইটার বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে প্রার্থীর জ্ঞানের মাত্রা) এতসবের মধ্য থেকে সঠিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সঠিক সামাজিক মাধ্যম কোনটি৷ আবার একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিকল্পনা কেমন হওয়া চাই৷ ফেসবুক আসক্তদের জন্য আরেকটি কাজের সুযোগ৷ পদবী: সামাজিক মাধ্যম পরিকল্পনাকারী!

এবার বলবো সবচেয়ে লোভনীয় চাকরিটির কথা৷ ওবামার চেইঞ্জ তত্ত্বের সঙ্গে গলা মিলিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং সেই সঙ্গে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং এর কর্মপ্রণালিতে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে৷ ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে চায় তারা৷ আর তাই প্রয়োজন সামাজিক মিডিয়া সম্পর্কে জানে এরকম একজন বিশেষজ্ঞকে৷ হয়ে গেল! পদবী: এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেক্ট৷

বিশ্বের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই তাদের গ্রাহক বা ভোক্তার কাছ থেকে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত চায়৷ আর তাই গতানুগতিক চিঠিপত্র বা ই-মেইল (!) ব্যবস্থাকে সরিয়ে এখন চাই আরো স্বচ্ছ এবং গতিময় মাধ্যম৷ কি আর করা৷ গ্রাহক বা ভোক্তার জন্য তৈরি করো ফেসবুক পেইজ বা ব্লগ সাইট কিংবা টুইটার ফিড৷ আর সেগুলো দেখভাল করা এবং সেই সঙ্গে গ্রাহক বা ভোক্তার কাছ থেকে পাওয়া মতামতকে সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য দরকার বিশেষজ্ঞ৷ পদবী: ইউজার অপারেশনস এনালিস্ট৷

চলুন বকবকানির ইতি টানি৷ সর্বশেষ পদটির নাম ডিরেক্টর অফ সোশ্যাল মিডিয়া৷ এই পদে যিনি অসীন হতে চান তাঁর অবশ্যই ব্লগিং, সামাজিক নেটওয়ার্কে মার্কেটিং কিংবা পডকাস্টের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে৷ জানতে হবে কিভাবে ব্যবসার স্বার্থে কাজে লাগানো যায় ফেসবুক, টুইটার, মাই স্পেস কিংবা ইউটিউটবকে৷

অনেক হলো৷ প্রশ্ন জাগতে পারে এতসব চাকরি পাবো কোথায়? এজন্যও ভরসা ইন্টারনেট৷ বাংলাদেশ, ভারত বা বিশ্বের যেকোন দেশে এখন বেশ জনপ্রিয় চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটগুলো৷ এসব সাইটে চাকরি খোঁজার সময় ব্যবহার করুন ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া'', ‘‘ইন্টারঅ্যাকটিভ মার্কেটিং'', ‘‘নিউ মিডিয়া'' কিংবা ‘‘ব্র্যান্ডিং ম্যানেজার'' শব্দগুলো৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার

Source: www.dw-world.de

ফ্রেন্ডস লকার ব্যবহার করুন এবং আপনার ফেসবুক বন্ধুদের নিজের কাছে রাখুন সারাজীবন

ফ্রেন্ডস লকার ব্যবহার করুন এবং আপনার ফেসবুক বন্ধুদের নিজের কাছে রাখুন সারাজীবন

মানুষের জীবন ক্ষনস্থায়ী । আজকাল তেমনই হয়ে গেছে ফেসবুকের প্রোফাইলের অবস্থা । কে যে কখন হ্যাক করে, কখন যে ফেসবুক প্রোফাইলটা বল্ক করে দেয় কোন গ্যারান্টি নাই । আর নিজের প্রোফাইল হারানো মানেই সকল বন্ধুদের হারানো । এমন পরিস্থিতিতে পরার আগেই সকলের উচিত নিজের সকল বন্ধুদের লিস্টটি ব্যাকআপ করে নেয়া । আর সেই সুবিধা দিতে আজ কাজ শেষ করলাম “ফ্রেন্ডস লকার” । এখানে আপনি আপনার সকল বন্ধুদের নাম সহ তাদের প্রোফাইল লিংক সংরক্ষণ করতে পারবেন । কখনো যদি আপনার এমন প্রোফাইল কাজ না করে তাহলে আপনি নতুন প্রোফাইল বানানোর পর এই প্রোগাম থেকে আপনার সকল বন্ধুদের লিস্ট দেখতে পারবেন । এবং আপনার সকল বন্ধুর প্রোফাইল লিংক থেকে সকল বন্ধুর সাথে আবার সংযুক্ত হতে পারবেন ।

আশা করি আপনাদের সকলের উপকারে আসবে । আর আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য “ফ্রেন্ডস লকার” কে আরো শক্তিশালী করতে আশা করি ।

প্রোগ্রামটি ব্যবহার করার জন্য ভিজিট করুন http://apps.facebook.com/friends-locker/

Source: www.ojana.info, মেহেদী হাসান

ফেসবুক থেকে বাংলাতে আপনার প্রিয়জনকে ইমেল করুন

ফেসবুক থেকে বাংলাতে আপনার প্রিয়জনকে ইমেল করুন

সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা । আমরা জানি আজকাল আমরা যতক্ষণ ইন্টারনেটে থাকি তার বেশিভাগ সময় থাকি ফেসবুকে । আর আজকাল আমরা অনেকেই ফেসবুকে বাংলাতে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি । এতে যেমন আমরাদের বাংলা লিখার অভ্যাস থাকছে তেমন আমাদের বাংলা ভাষা সবার কাছে আরো পপুলার হচ্ছে । তাই বাংলা ভাষার ব্যবহার আরো বৃদ্ধি করার জন্য ফেসবুক থেকে বাংলা ভাষায় ইমেল করার জন্য একটা প্রোগ্রাম বানালাম । আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে ।

ফেসবুক থেকে বাংলাতে ইমেল করার জন্য ভিজিট করুন

http://apps.facebook.com/banglaemail/

আপনি চাইলে এই প্রোগ্রামকে আপনার প্রোফাইল পেজে ট্যাব আকারে যুক্ত করতে পারেন । তাহলে আপনার প্রোফাইল পেজ থেকেই আপনারা বাংলাতে ইমেল পাঠাতে পারবেন । আমি আরো কিছু ফিচার যুক্ত করবো আশা করি । আপনাদের মূল্যবাদ মতামত কাম্য ।

Source: www.ojana.info, মেহেদী হাসান

পাল্টে ফেলুন ফেসবুকের থিম

পাল্টে ফেলুন ফেসবুকের থিম

সবাই জানি এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল ফেসবুক। সময় পেলে একবারের জন্য হলেও ঘুরে আসি প্রতিদিন। কিন্তু প্রতিদিন একই রকমের থিম দেখতে দেখতে আর ভালো লাগে না। অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি অতি সহজে থিম পালটে ফেলতে পারেন। ফলে অনেক মজার মজার থিম ইচ্ছে করলেই পাল্টানো যায়। আমরা সবাই জানি ফেসবুকে তা করা যায় না। কি ভাবে ফেসবুকে এই কাজটা করা যায়?
এরজন্য প্রথমে http://www.chameleontom.com লিংকে যান। দেখবেন হাতের বাম পাশে লিখা আছে install plugin ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড শেষে সেটাপ করুন। আবার আগের জায়গায় ফিরে আসুন। দেখতে পাবেন অনেক গুলো মজার মজার থিম দেয়া আছে। ঠরব িতে ক্লিক করে আপনি থিমটার বড় ছবি দেখতে পাবেন। যে থিমটি আপনার ভালো লাগবে সেটিকে install করুন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। এখন ফেসবুকে লগইন করে দেখে আসুন কেমন লাগে। মনে রাখবেন Chameleon Tom toolbar টি বন্ধ করা যাবে না।
আইসিটি কর্নার ডেস্ক, Daily Amardesh

মোবাইল ফোনে বিনামূল্যে জানুন ফেসবুক আপডেট

মোবাইল ফোনে বিনামূল্যে জানুন ফেসবুক আপডেট

আতাউর রহমান কাবুল, ই-মেইল : arkabul@yahoo.com

সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক কম্পিউটারে ব্যবহার করার পাশাপাশি মোবাইল ফোন থেকেও ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হয় না। অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীরা এসব নোটিফিকেশন ই- মেইলের পাশাপাশি মোবাইল ফোনেও পেয়েছেন এতদিন। এবার আমাদের দেশেও এসেছে এ সুযোগ। সম্প্রতি বাংলাদেশের দু’টি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের জন্য এ সুবিধাটি চালু করেছে। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও এখন স্ট্যাটাস আপডেট, কারও ওয়ালে পোস্ট করা এবং নোটিফিকেশন মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে দেখার সুবিধা রয়েছে।

কীভাবে পাবেন এ সেবা?

এর জন্য ফেসবুকে কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে হবে। এজন্য ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটার থেকে প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করুন। এবার Account থেকে Account Settings অপশনে যান।
এবার Account Settings থেকে Mobile লেখা ট্যাবে যেতে হবে।
মোবাইল ট্যাবে গেলে নিচের একটি পেজ খুলবে। যেখানে একেবারে নিচে লেখা রয়েছে Already received a confirmation code?। এ লেখাটির ওপর ক্লিক করুন।
এরপর যে মোবাইল নম্বর থেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট করতে চান এবং নোটিফিকেশন পেতে চান সেটির মেসেজ অপশনে গিয়ে fb লিখে গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা ২৫৫৫ নম্বর এবং বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের ৩২৬৬৫ নম্বরে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ব্যবহারকারীকে একটি Confirmation Code পাঠানো হবে। এবার ফেসবুকের মোবাইল ট্যাবের নিচে Already received a confirmation code? লেখা বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। এবার যে Confirmation Code-টি এসএমএসে এসেছে সেটি কনফার্মেশন বক্সে লিখতে হবে।
এবার Confirm-এ ক্লিক করুন। এখন কী কী নোটিফিকেশন মোবাইলে পেতে চান তার সেটিংগুলো ঠিক করে দিন। এরপর থেকে ফেসবুকের সব ধরনের নোটিফিকেশন এসএমএসের মাধ্যমে পাবেন। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো চার্জ দিতে হবে না।

Friday, January 28, 2011

দক্ষিণ এশিয়ায় সেবা কমাতে পারে ফেসবুক, ইউটিউব

দক্ষিণ এশিয়ায় সেবা কমাতে পারে ফেসবুক, ইউটিউব

দক্ষিণ এশিয়ায় ফেসবুক এবং ইউটিউবসহ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে৷ এলেক্সা ব়্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে ওয়েবসাইট দুটির অবস্থান সেরা দশের মধ্যে৷ কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবসায়িকভাবে একেবারেই সফল নয় তারা৷

ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা অর্জন নিঃসন্দেহে ভালো খবর৷ কিন্তু ফেসবুক কিংবা ইউটিউব দক্ষিণ এশিয়ায় এই সফলতা ঠিক আনন্দের সঙ্গে কাজে লাগাতে পারছে না বলেই জানা গেছে৷ কারণ এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করাটা ঠিক হয়ে উঠছে না তাদের৷

ফেসবুক বা ইউটিউবের মত একেকটি ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ অনেক খরচের ব্যাপার৷ বিশেষত ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইডথ এবং স্পেস অ্যালোকেট করার জন্য প্রয়োজন হয় অফুরন্ত সার্ভার স্পেস৷ একইসঙ্গে এসব ওয়েবসাইটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনভাতাসহ আরো অনেক বিষয়৷ অবাক হলেও সত্য, এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখেনি ফেসবুক৷ অন্যদিকে, ইউটিউব কিনে নিয়ে সমানে লোকসানের মুখ দেখছে গুগল৷

আর তাই ইউটিউব বা ফেসবুকের মত জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো নাকি এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশে তাদের সেবা বন্ধ বা কম খরচের বিশেষ সেবা চালু রাখার চিন্তাভাবনা করছে, এমনটাই জানাচ্ছে দি নিউ ইয়র্ক টাইমস৷

গত বছর ভিওয়া নামক একটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকাসহ বেশ কিছু দেশে তাদের সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার দিমিত্রি শাপিরো জানান, আমি স্বাধীন এবং মুক্ত যোগাযোগে বিশ্বাসী৷ কিন্তু এসব দেশের মানুষ তাদের নিজস্ব কনটেন্ট বারবার দেখার জন্য প্রচন্ড ক্ষুধার্ত৷ তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়েবসাইট খুলে বসে থাকে, এক অর্থে যা আমাদের ব্যান্ডউইডথ খেয়ে ফেলার সামিল৷ ফলে এসব এলাকায় ব্যবসা করা খুব মুশকিল৷

এই সমস্যায় আছে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট মাইস্পেসও৷ এজন্য তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কম ব্যান্ডউইডথ এর সংস্করণ চালু করেছে৷ ফলে ভারতে থাকা মাইস্পেসের প্রায় ৮ লাখ ব্যবহারকারী স্বল্প ব্যান্ডউইডথ এর মাইস্পেস দেখছে৷ খরচ কমানোর জন্যই মাইস্পেসের এই উদ্যোগ৷

তবে সবচেয়ে সঙ্গিন অবস্থায় আছে ইউটিউব৷ ২০০৯ সালে এই সাইটটির লোকসান হবে অন্তত ৪৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার- ইতিমধ্যে অর্থনীতিবিদরা জানিয়ে দিয়েছে তা৷ প্রতি মাসে কোটি কোটি ভিডিও যোগ হচ্ছে এই সাইটে আর সেগুলো সামলাতে খরচ করতে হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা৷ ইউটিউব এর অনলাইন সেলস এন্ড অপারেশনস এর প্রধান টম পিকেট জানিয়েছেন, অনলাইন ভিডিওকে বিশ্ববাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ নিয়ে এখনো এগিয়ে চলেছে ইউটিউব৷ গত দুই বছরে ভারত, ব্রাজিল এবং পোল্যান্ডের জন্য স্থানীয় সংস্করণও তৈরি করেছে সাইটটি৷ তবে এই মুহুর্তে আরো স্থানীয় সংস্করণ তৈরির দিকে নজর না দিয়ে ব্যবসার কথা ভাবছে ইউটিউব৷

টম জানান, ভবিষ্যতে আমরা হয়তো ব্যান্ডউইডথ এর একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে দেবো৷

খরচ কমাতে ফেসবুকও চিন্তা করছে তার সার্ভারে থাকা ছবি এবং ভিডিওগুলোর কোয়ালিটি কমানোর৷ এই সামাজিক ইউটিলিটি সাইটটির ৭০ শতাংশ ব্যবহারকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করে৷ আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অধিকাংশ ব্যবহারকারী হলেও উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে তেমন কোন ব্যবসায়িক সুবিধা পাচ্ছে না ফেসবুক৷ অন্যদিকে প্রতিমাসে ৮৫০ মিলিয়ন ছবি আর ৮ মিলিয়ন ভিডিও যুক্ত হচ্ছে এই সাইটে যা সংরক্ষণের খরচ অনেক৷ আর তাই খরচ কমাতে বিভিন্ন দেশে বা বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের যুক্ত করা ছবি এবং ভিডিও-র কোয়ালিটি কমানোর কথা ভাবছে ফেসবুক৷ পাশাপাশি বিজ্ঞাপনদাতা খুঁজতে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ফ্রান্সে লোক নিয়োগ করেছে সংস্থাটি৷

অবশ্য ফেসবুক, গতমাসে ঘোষণা দিয়েছিল যে আগামী বছরের মধ্যে লাভের মুখ দেখবে তারা৷ বলাবাহুল্য এই ঘোষণার পর পরই পদত্যাগ করেন ফেসবুকের ফিন্যান্স বিভাগের প্রধান গিবিওন ইয়ু৷ শোনা যাচ্ছে, কোম্পানির এই বিলাসবহুল ঘোষণার মোটেই পক্ষে ছিলেন না তিনি৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন দেশে তাদের সেবা বন্ধ করলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়বে৷ কিন্তু এই মুহুর্তে বিশ্ববাপী ছবি বা ভিডিও সেবা চালানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি অনেকেরই কেম আসছে৷ আর তাই অদুর ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার মত অঞ্চলগুলো থেকে ফেসবুক বা ইউটিউব মুখ ঘুরিয়ে নিলে কিইবা করার থাকবে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার